০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদকন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা

  • আপডেট সময়: ০৮:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • 6

প্রতীকী ছবি


ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়া (১৭) শনিবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন। রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন শহীদ জসিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. কালাম হাওলাদার।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের পর লামিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং সামাজিক লজ্জা, চাপ এবং বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় চরম হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারের ধারণা, এসব কারণে লামিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

শোকাহত পরিবার জানায়, লামিয়া ঢাকায় পড়াশোনা করছিলেন। তবে, মাত্র এক মাস আগে ১৮ মার্চ পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।

ঘটনার পর সাহসিকতার সঙ্গে তিনি থানায় গিয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং দুমকি থানা পুলিশ ধর্ষণ মামলার আসামি সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, লামিয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

পটুয়াখালী দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, এবং মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।

 

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদকন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা

আপডেট সময়: ০৮:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

প্রতীকী ছবি


ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়া (১৭) শনিবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন। রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন শহীদ জসিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. কালাম হাওলাদার।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের পর লামিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং সামাজিক লজ্জা, চাপ এবং বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় চরম হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারের ধারণা, এসব কারণে লামিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

শোকাহত পরিবার জানায়, লামিয়া ঢাকায় পড়াশোনা করছিলেন। তবে, মাত্র এক মাস আগে ১৮ মার্চ পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।

ঘটনার পর সাহসিকতার সঙ্গে তিনি থানায় গিয়ে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং দুমকি থানা পুলিশ ধর্ষণ মামলার আসামি সাকিব ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, লামিয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

পটুয়াখালী দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, এবং মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।