০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ছুটি

  • আপডেট সময়: ০৭:২৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • 21

ছবি: সংগৃহীত


পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ছুটি। সম্প্রতি সময় সুন্দরবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ড ও ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিদের হরিণ শিকার প্রতিরোধে সুন্দরবন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যায়, গত এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির টেপারবিল ও ধানসাগর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির শাপলারবিলের তেইশের ছিলায় দুই দফা আগুন জ্বলে ওঠে। বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের ছয়দিনের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগুনে বনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে প্রায় ৬ একর বনভূমির গাছপালা।

অপরদিকে, গত কয়েক মাস ধরে সুন্দরবনের শরণখোলা চাঁদপাই, সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন রেঞ্জে হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক জায়গায় হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে গোপনে রাতের আঁধারে দেদারসে হরিণের মাংস বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া যায় এবং ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিরা সুন্দরবনে হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকারে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ সকল কারণে সুন্দরবন বিভাগ রেড অ্যালার্ট জারিসহ বনরক্ষীদের ছুটি সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিদের ধরতে সুন্দরবনের সব টহল ফাঁড়ি, স্টেশনের বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। বনরক্ষীরা তাদের টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।

সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ ও বন বিভাগের বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল কবির বলেন, সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ছুটি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ছুটি দেয়া হবে না। ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছর চোরাশিকারি চক্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে একটি চক্র বনে আগুন ধরায়। এদের প্রতিরোধে বনরক্ষীদের বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উত্তরাধুনিক

Writer, Singer & Environmentalist

সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ছুটি

আপডেট সময়: ০৭:২৪:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

ছবি: সংগৃহীত


পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জে রেড অ্যালার্ট জারি হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ছুটি। সম্প্রতি সময় সুন্দরবনে ঘটে যাওয়া অগ্নিকাণ্ড ও ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিদের হরিণ শিকার প্রতিরোধে সুন্দরবন বিভাগ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জানা যায়, গত এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কলমতেজী ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির টেপারবিল ও ধানসাগর ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির শাপলারবিলের তেইশের ছিলায় দুই দফা আগুন জ্বলে ওঠে। বনবিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের ছয়দিনের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগুনে বনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে গেছে প্রায় ৬ একর বনভূমির গাছপালা।

অপরদিকে, গত কয়েক মাস ধরে সুন্দরবনের শরণখোলা চাঁদপাই, সাতক্ষীরা সহ বিভিন্ন রেঞ্জে হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক জায়গায় হরিণের মাংস উদ্ধার হয়েছে। ঈদের আগে ও পরে সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে গোপনে রাতের আঁধারে দেদারসে হরিণের মাংস বিক্রি হওয়ার খবর পাওয়া যায় এবং ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিরা সুন্দরবনে হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকারে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এ সকল কারণে সুন্দরবন বিভাগ রেড অ্যালার্ট জারিসহ বনরক্ষীদের ছুটি সীমিত করার ঘোষণা দিয়েছে। পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) রানা দেব বলেন, ঈদকে সামনে রেখে চোরাশিকারিদের ধরতে সুন্দরবনের সব টহল ফাঁড়ি, স্টেশনের বন কর্মকর্তা ও বনরক্ষীদের বিশেষ নজরদারি চালাতে বলা হয়েছে। বনরক্ষীরা তাদের টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।

সুন্দরবন খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ ও বন বিভাগের বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নুরুল কবির বলেন, সুন্দরবনে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সীমিত করা হয়েছে বনরক্ষীদের ছুটি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ছুটি দেয়া হবে না। ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছর চোরাশিকারি চক্র মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে একটি চক্র বনে আগুন ধরায়। এদের প্রতিরোধে বনরক্ষীদের বিশেষ টহল কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।